বিকাশ এজেন্ট নিতে কি কি লাগে ? বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন

বিকাশ এজেন্টের প্রয়োজনীয়তা দৈনন্দিন জীবনে অপার্থিব হয়ে উঠেছে। তারা লোকেরা সহজে টাকা পাঠাতে এবং অন্যান্য বিকাশ সেবার প্রদান করতে সাহায্য করে। বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বৃদ্ধি পায়, যা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বিকাশ এজেন্ট নিতে কি কি লাগে

বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা

বিকাশ এজেন্ট হিসাবে কাজ করা একটি ব্যবসায়িক মাধ্যম যা আপনাকে একটি ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা প্রদান করতে দেয়। বিকাশ এজেন্ট হওয়ার মাধ্যমে আপনি বিকাশ পরিষেবাগুলি গ্রাহকদের সরবরাহ করতে পারেন এবং তাদের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।

বিকাশ এজেন্ট হওয়ার মাধ্যমে আপনি নিম্নলিখিত পরিষেবাগুলি গ্রাহকদের প্রদান করতে পারেন:
  • টাকা পেমেন্ট সেবা: আপনি গ্রাহকদের বিভিন্ন পেমেন্ট সম্পর্কিত কাজের জন্য টাকা গ্রহণ করতে পারেন। এটি মাঝে মাঝে হার্ডক্যাশ থেকে ডিজিটাল পেমেন্টে অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে।
  • নগদ উপার্জন সেবা: আপনি বিকাশ এজেন্ট হিসাবে কাজ করে গ্রাহকদের জন্য নগদ উপার্জন সেবা প্রদান করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, মোবাইল রিচার্জ, ইন্টারনেট বিল পরিশোধ, টিভি রিচার্জ ইত্যাদি।
  • টিকিট বিক্রয় সেবা: আপনি গ্রাহকদের বিভিন্ন টিকিট বিক্রয় সেবা প্রদান করতে পারেন, যেমন বাস, ট্রেন, বিমান ইত্যাদির টিকিট বিক্রয়।
  • মোবাইল ব্যাংকিং সেবা: আপনি গ্রাহকদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে পারেন, যা তাদের মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে টাকা প্রেরণ, জমা ও অন্যান্য ব্যাংকিং কাজ সম্পন্ন করে।
  • অন্যান্য পরিষেবা: বিকাশ এজেন্ট হিসাবে আপনি বিকাশ কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট পরিষেবাগুলি গ্রাহকদের প্রদান করতে পারেন, যেমন বিমা প্রাপ্তি, আইনজীবীর হালনাগাদ, পোষা বিক্রয় ইত্যাদি।


বিকাশ এজেন্ট হওয়ার মাধ্যমে আপনি একটি আদর্শিত মাসিক আয় উপার্জন করতে পারেন। আপনি গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে কমিশন উপার্জন করতে পারেন যা আপনার ব্যবসায়ের প্রগতি এবং লোকাল মার্কেটের উপর নির্ভর করে। বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনাকে বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সাপোর্ট প্রদান করবে যাতে আপনি ভালভাবে সেবা প্রদান করতে পারেন।

এগুলি সাধারণত বিকাশ এজেন্ট হওয়ার কিছু উদাহরণ। আপনি আপনার ক্ষেত্রে উপযুক্ত একটি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা চালানোর জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষের সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন।


বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন

বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:


১. আপনার নিকটবর্তী বিকাশ অফিসে গিয়ে সম্প্রতি প্রদত্ত তথ্যের সাথে প্রমাণপত্র সহ আবেদন জমা দিতে হবে।

২. রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করুন। আপনাকে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।

৩. আপনার সঠিক তথ্য প্রদানের পরে, আপনার আবেদন সম্পন্ন করার জন্য আপনার নিকটবর্তী বিকাশ অফিসে গিয়ে সম্প্রতি প্রদত্ত তথ্যের সাথে প্রমাণপত্র সহ আবেদন জমা দিতে হবে।

৪. আবেদন জমা দিলে, বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন পর্যবেক্ষণ করবে এবং আপনাকে প্রয়োজনীয় কোনও অতিরিক্ত তথ্য প্রদান করতে পারে।

৫. রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে, আপনার আবেদনের পরিবর্তে বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। এছাড়াও, আপনাকে বিকাশ এজেন্ট হিসাবে সক্ষম করতে আপনার ঠিকানা যাচাই করার জন্য কয়েকটি অতিরিক্ত ধাপ গ্রহণ করতে হতে পারে।

সাধারণত, এই প্রক্রিয়া মোটামুটি বিকাশ কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট নিয়মাবলীতে চলতে থাকে, তাই আপনার সঠিক তথ্য প্রদান করা ও সক্ষমতা প্রমাণিত করার জন্য সতর্ক থাকুন।


বিকাশ এজেন্ট নিতে কি কি লাগে ?

বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য আপনার কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস সাধারণত প্রয়োজন হতে পারে:

  • আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (নাম্বার কপি সংযুক্ত করা হতে পারে)।
  • মোবাইল নম্বর এবং ইমেল ঠিকানা।
  • একটি ছবি সংযুক্ত করা পাসপোর্ট আকারের ছবি।
  • অন্যান্য আইডেন্টিটি প্রুফ যদি প্রয়োজন হয়, ট্রেড লাইসেন্স, পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড ইত্যাদি।
  • ব্যাংক একাউন্টের তথ্য যদি আপনার বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্টে প্রয়োজন হয়।

সংশ্লিষ্ট অফিস বা ওয়েবসাইটে আপনি সঠিক তথ্য ও ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবেন। প্রয়োজন হলে বিকাশ অফিস বা কাস্টমার সাপোর্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ডকুমেন্টস সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্যের জন্য।


বিকাশ এজেন্ট কমিশন

বিকাশ এজেন্টদের কমিশন রেট বিকাশ কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে। কমিশন রেট এজেন্টের বিভিন্ন সেবার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তণ করতে পারে। 


বিকাশ এজেন্টরা অ্যাপ ব্যবহার করে লেনদেন করার জন্য কমিশন পায় এবং সেবা গ্রাহকদের প্রদান করেন। এই কমিশন আমাদের জানা নেই, কারণ এটি পরিবর্তনশীল হতে পারে। 

আপনি বিকাশ কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট বা অফিসে পরিচিতি দিয়ে কমিশন রেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।


বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম ও শর্তাবলী অনুসরণ করতে হয়। নিম্নলিখিত নিয়মগুলি সাধারণত প্রযোজ্য হতে পারে:

ব্যক্তিগত যোগ্যতা: 
আপনাকে বিকাশ এজেন্ট হতে হলে আপনাকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সাধারণত, এই যোগ্যতা হলো আপনি একজন নাগরিক হতে হবেন এবং আপনার নিজস্ব ব্যবসায় বা দোকান থাকতে হবে।

স্থায়ী ঠিকানা: 
আপনার স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণ করতে হবে। আপনার ব্যক্তিগত ঠিকানা যেমন ঠিকানা প্রমাণপত্র, বিদ্যুৎ বিল, ভূ-নিবন্ধন এবং অন্যান্য দলিল প্রদান করা হতে পারে।

অনুমোদিত দলিল: 
আপনার অনুমোদিত দলিল প্রদান করতে হবে, যা আপনার ব্যবসায় বা দোকানের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

প্রশিক্ষণ: 
আপনাকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য। বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনাকে বিকাশ সেবার ব্যাপারে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।

আবেদন প্রক্রিয়া: 
আপনাকে বিকাশ এজেন্ট হওয়ার আবেদন প্রদান করতে হবে বিকাশ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। আপনাকে সম্পন্ন আবেদন জমা দিতে হবে এবং পরবর্তীতে আপনাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য আরও নিয়মাবলী থাকতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট নীতি এবং শর্তাবলী অনুযায়ী পরিবর্তন করা হতে পারে। আপনি বিকাশ এজেন্ট প্রোগ্রামের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করে সম্পূর্ণ নিয়মাবলী ও বিশদ তথ্য জানতে পারেন।


বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে

বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য কোনও নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রেশন ফি প্রযোজ্য নয়। তবে, বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য একটি প্রাথমিক মূল্যায়ন এবং তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া থাকে। সাধারণত, বিকাশ কর্তৃপক্ষ এজেন্ট হওয়ার জন্য কোনও আবেদন ফি চার্জ নেয় না।

তবে, বিকাশ এজেন্ট হওয়ার পর আপনার ব্যবসা চালানোর জন্য আপনার নিজস্ব পূর্বশর্ত ও পূর্বনির্ধারিত ধারণা মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। 

এর মধ্যে থাকতে পারে দোকানের ভাড়া, দরপত্র ও আবশ্যক উপকরণসমূহের খরচ, বিভিন্ন সার্ভিস সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবসা পরিচালনার খরচ ইত্যাদি। 

এই পরিমাণ টাকা বিকাশ এজেন্ট প্রাথমিক মূল্যায়নের সময় উল্লিখিত হতে পারে।

আপনার বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য আরও বিশদ তথ্য ও খরচের প্রয়োজন হলে, আপনি বিকাশ কর্তৃপক্ষের সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন।


বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা

বিকাশ এজেন্ট হওয়ার সাথে সাথে আপনি বিকাশ কর্তৃপক্ষের পেশাদার পার্টনার হিসাবে একাধিক সুবিধা পান। কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ


আপনি প্রায়শই পেমেন্ট এবং নগদ সেবা প্রদান করতে পারেন, যা একটি বিকল্প পেমেন্ট পদ্ধতি হিসাবে গ্রাহকদের উপলব্ধ করে।

বিকাশ এজেন্ট হওয়ার মাধ্যমে আপনি গ্রাহকদের জন্য সহজ ও সম্পূর্ণ ট্রানজেকশন প্রযুক্তি প্রদান করতে পারেন। এটি তাদেরকে টাকা প্রেরণ, টাকা গ্রহণ, বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, অনলাইন শপিং ইত্যাদি করতে সহায়তা করে।

বিকাশ এজেন্ট হিসাবে আপনি গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় সেবা সরবরাহ করতে পারেন, যেমন টিকিট বিক্রয়, মোবাইল ব্যাংকিং, বিমা প্রাপ্তি, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড প্রদান ইত্যাদি। এটি আপনার কাস্টমারদের জন্য একটি একটি স্থান হিসাবে কাজ করে এবং তাদের প্রত্যাশিত সেবা প্রদান করে।

আপনি বিকাশ এজেন্ট হিসাবে কাজ করে আপনার আর্থিক স্বাধীনতা বজায় রাখতে পারেন। আপনি নিজের ব্যবসায়িক সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং নিজের গ্রাহকদের জন্য সময় প্রদান করতে পারেন।

এগুলি কেবলমাত্র কিছু সুবিধাগুলি বিকাশ এজেন্ট হওয়ার উদাহরণ, এবং সেবা ও সুবিধার ক্ষেত্রে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনি বিকাশ কর্তৃপক্ষের সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন।


আরো পডুন: